দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারের পর এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। তবে তার কিছুক্ষণ পরই চীনের কাছে লেবাননের হারে সরে যায় সেই শঙ্কার মেঘ। গ্রুপ রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে শীর্ষ তিনে থেকে মূল পর্ব নিশ্চিত করে আফাইদা খন্দকারের দল এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের সফল অভিযান শেষে সোমবার (১১ আগস্ট) লাওস থেকে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল। ঢাকায় ফিরেই নারী দলের কোচ পিটার বাটলার জানালেন সামনের দিনের লক্ষ্যের কথা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য এনে দিলেও এই ইংলিশ কোচের মূল লক্ষ্য সিনিয়র দল নিয়ে। গত জুলাইয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মুল পর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যার সুবাদে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছে মেয়েরা। ৮০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে ২৪ ধাপ এগিয়ে তাদের বর্তমান র্যাঙ্কিং ১০৪। তবে বাটলারের চাওয়া, দলকে র্যাঙ্কিংয়ে ১০০-এর নিচে আসা। বাটলার বলেন, ‘তারা যা অর্জন করেছে, স্বীকৃতি এবং প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, (র্যাঙ্কিং) এটি খুব দ্রুত নেমে আসতে পারে, আবার খুব দ্রুত উপরেও যেতে পারে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং আবারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যাতে ফিফা র্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায় এবং এটিকে ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনা যায়।’ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পরও বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকেই। তবে বাটলারের স্পষ্ট বার্তা, তার ছকে আসবে না কোনো বদল, ‘কারো জ্বর হয়েছিল, চোট ছিল এবং আমাদের সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তারা যেভাবে খেলে সেটার প্রশংসা আমি করি। আমার মনে হয়, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা করেছি। তবে গতকাল বিশ্বের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে খেলেছি।’ বাটলার আরও বলেন, ‘(এগিয়ে যাওয়ার পর) আমরা রক্ষণাত্মক হতে পারতাম, নিচে নেমে খেলতে পারতাম, জীবন দিয়ে গোলটি আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতাম, কিন্তু আমি এর সাথে একমত নই। আমি এভাবে কাজ করি না। তবে হ্যাঁ, সব মিলিয়ে মেয়েদের জন্য আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।’
