ইবি প্রতিনিধি

সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা চত্বর থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো— এক, সাজিদ হত্যার বিচার সম্পন্ন করা, দুই, ইকসু নির্বাচনের নীতিমালা ও রোডম্যাপ দ্রুত প্রকাশ, তুই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, চার, নির্মাণাধীন হলসমূহ দ্রুত চালু করা, এবং পাঁচ, মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাখা সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন শাখা সেক্রেটারি মু. ইউসুব আলী, অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পাদক হাসানুল বান্না অলি প্রমুখ।
সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “সাজিদ হত্যার ৯৩ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনো খুনিদের গ্রেফতার করা হয়নি। এটি শুধু প্রশাসনের নয়, সরকারেরও ব্যর্থতা। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই—বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইকসু নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বছরের পর বছর শুধু আশ্বাসই দিয়ে আসছে। যদি এখনো দেরি করা হয়, শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামবে।”
ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, “সদিচ্ছা থাকলে ২১ দিনের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব। আমরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি—দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারকে অফিসে বসতে দেওয়া হবে না।”
শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছু বিভাগে ছয়-সাতটি সেশন মিলেও মাত্র দুজন শিক্ষক রয়েছেন। এ অবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে, তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধীদের স্থান দেওয়া যাবে না।”
নির্মাণাধীন হলগুলোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আট বছরেও কাজ শেষ হয়নি। চলতি বছরেই সব হলের কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে এবং সিট বণ্টনে মেধা অগ্রাধিকার দিতে হবে।”