আকরাম হোসেন, মানিকগঞ্জ
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মানিকগঞ্জ জেলাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সাল থেকে জেলার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে। এরপর থেকেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিরোধী দল তথা বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও দলীয় পুলিশের হাতে হত্যার শিকার হন অন্তত নয়জন। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই সময়ে জেলার মোট ২৫১টি রাজনৈতিক গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হন বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ১১ হাজার নেতাকর্মী।
মামলার ঘানি টেনে অনেকেই নিঃস্ব। অনেকেই বাড়িতে ঘুমাতে পারতেন না। জাতীয় নির্বাচনের সময়টাতে বিএনপি-জামায়াতের পরিবারগুলো হয়ে পড়ত পুরুষশূন্য। এছাড়া জেলাজুড়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের লুটপাট, গ্রুপভিত্তিক চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বালুমহালের নিয়ন্ত্রণসহ পরিবহন সেক্টরের ব্যাপক চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু এত নির্যাতন-নিপীড়নের স্বীকার হলেও মানুষের ছিল না বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই নেমে আসত হামলা-মামলার খড়্গ।
