বিদ্রোহ, মানবতা ও সাম্যের চেতনায় দীপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এই বহুমুখী প্রতিভা।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল। ছোটবেলা থেকেই তিনি দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে উঠেন। তার ডাকনাম ছিলো দুখু মিয়া।
অল্প সময়ের সাহিত্যজীবনেই তিনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন অসংখ্য কবিতা, গান, প্রবন্ধ ও নাটকের মাধ্যমে। তার সৃষ্টিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মানবপ্রেম ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা একীভূত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের মে মাসে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয়। জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদানের পাশাপাশি তাকে ধানমন্ডিতে সরকারি বাসভবন দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে তাকে ডি-লিট সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে তিনি পান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি পান একুশে পদক।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল।
এদিকে বাংলা একাডেমি কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
