পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, খাগড়াছড়িতে আন্দোলনের পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে। রোববার দুপুরে তিনি একথা বলেন।
পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জেরে গত কয়েক দিন ধরে অবরোধ, মিছিল, সমাবেশ ও সবশেষ সহিংস পরিস্থিতির পর খাগড়াছড়িতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজন পাড়া, নারিকেল বাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার, শহীদ কাদের সড়কে দুটি পক্ষের মধ্যে পৃথক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।ঘটনার সময় স্বনির্ভর এবং নারিকেল বাগান এলাকায় বেশ কিছু দোকানে হামলা, ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জারিকৃত ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।৭ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে।
সহিংতায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে।
