শনিবার , ২৬ জুলাই ২০২৫ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. প্রবাস
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

মাদ্রাসা শিক্ষার ব্র্যান্ডিং ক্রাইসিস: পিএসসির সার্কুলারে এবারও ফাজিল ডিগ্রির নাম নেই

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৬, ২০২৫ ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

৪৯ তম বিসিএসে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত ফাজিল ডিগ্রি উল্লেখ করা নেই। বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে আল কুরআন, আল হাদিস ও আল ফিকহ নামে। বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি ফ্যাকাল্টির আন্ডারে বিষয়গুলোর নাম এরকম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলোর নাম কি আছে, তা দেখারও প্রয়োজনবোধ তারা করে নি। কতটা দায়িত্ব হীনতা! কতটা খামখেয়ালিপনা এবং বাস্তবতা বিবর্জিত কার্যক্রম, ভাবতে পারেন? একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখ থাকবে না; এটা কতটা দায়িত্বহীনতা ও আপত্তিকর ব্যাপার তা ভাবতেই ঘা শিউরে উঠে। দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা ধারাকে ন্যারোডাউন ও রাষ্ট্রীয় মূল স্রোতা ধারায় একীভূত না করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটা চলে আসছে। বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশের জুলাই আগস্ট আত্মত্যাগের পরে এটা অব্যাহত থাকলে কেমনটা লাগে?

অথচ এই মাদ্রাসা শিক্ষাই মুসলমানদের প্রাচীনতম ও একমাত্র শিক্ষা পদ্ধতি ছিল। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার আগে এই দেশের সাধারণ শিক্ষা নামে কোন শিক্ষা ব্যবস্থাইতো ছিল না। ইংরেজদের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে “ভাগ করো শাসন করো” এই নীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের মুসলিম শাসকরা সবসময় ইসলামকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করেছে। একটা রক্তস্নাত বিপ্লব পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি না। এখনো মাদ্রাসা শিক্ষাধারাকে রাষ্ট্রীয় মূল স্রোতা দ্বারা থেকে দূরে রাখা হয় আড়াল করা হয় বাদ দেয়া হয়। এটার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জাগতে হবে, প্রয়োজনে রক্ত দিতে হবে। অনিবার্য বৈপ্লবিক চেতনায় দাবি আদায় করতে হবে।

আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠন এবং চাকরির বাজার নিশ্চিতকরণে কোন দায়িত্ববোধ নেই। কিভাবে ফাজিল কামিল স্তরে শিক্ষার্থী বাড়ানো যায়, কেন তারা মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে বিমুখ হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্কুলারে কেন এই ডিগ্রির নাম উল্লেখ থাকে না; এসব নিয়ে এই কর্মকর্তাদের বিন্দুমাত্র কোন চিন্তা হয় না। কোন দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তাদেরকে সক্রিয় দেখা যায় না। মাদ্রাসা শিক্ষাধারা ব্র্যান্ডিং ক্রাইসিস দূর করার জন্য কয়টা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বা গবেষণা তারা করেছে? দরকার নাই তো। জমিয়তুল মোদারেসিন ৭০-৮০ জনকে ইআবিতে নিয়োগ দিয়ে নেতারা টাকা বাগিয়েছেন। আর এই প্রশাসন পরিদর্শন নিয়ে ব্যস্ত আছেন। যেখানে সেখানে অনার্স কোর্স চালু করতেছেন, যেখানে সেখানে কেন্দ্র দিচ্ছেন। ক্লাসে যে শিক্ষার্থী নেই এ বিষয়ে কোনো মনোযোগের তাদের দরকার নেই। আলিয়া ধরার শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজার সংকীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা যে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই নিয়ে তাদের ভাবনা তৈরি হয় না।

অনেকেই তার দায়িত্ব কি, এটাই জানে না। কি করতে হবে, সেটাই সে বুঝেনা। তারপরও বড় বড় দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকে। আজব এক দেশ! আজব এক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা!

সর্বশেষ - ধর্ম

আপনার জন্য নির্বাচিত

কুমিল্লায় বাহার-সূচনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে বিএনপির নীতি কী হবে, প্রশ্নে যা বললেন তারেক রহমান

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

গাজামুখী ত্রাণবহর রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি ও স্পেন

আনোয়ারার দীর্ঘ কষ্টের অবসান ঘটালেন বিএনপি নেতা ছিদ্দিক উল্লাহ

বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ জুন-২০২৫ এর মাঠ পর্যায়ের (১ম দিনের) কার্যক্রম সম্পন্ন

রাকসু নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ছাত্রদল নেতা মিঠুর

এবার সরকারি মানচিত্রে ফিলিস্তিনের নাম যুক্ত করলো যুক্তরাজ্য

ড.ইউনুসের আগমনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে

জীবননগরে দিনে দুপুরে মসজিদে দুর্ধর্ষ চুরি।