গণপিটুনির শিকার হওয়া মাহবুব হাসান রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই ছিলেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেনি। গতবছরের আগস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে এক যুবককে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে মামলা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তৎকালীন এসআই মাহবুব হাসান সাদা পোশাকে মাসুদ রানার বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে রাজীব আলীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগরীর শিমলা বাগানে তুলে নিয়ে যান। এরপর মাসুদ রানাকে ফোন করে জানানো হয়, তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে রাজীবকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। শিমলা বাগানে গিয়ে মাহবুব হাসানের হাতে পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন মাসুদ রানা। এ সময় মাহবুব হাসান রাজীবের বাবাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং রাজীবকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরদিন রাজীবকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস কারাভোগ করার পর জামিন পান রাজীব।
