ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে: সতর্ক না হলে বাড়তে পারে বিপদ
ঢাকা, ৪ জুলাই: বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা ও শরীরে দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং সংক্রমণ ছড়ানোর অনুকূল পরিবেশ এই ভাইরাল জ্বরের জন্য দায়ী।
ভাইরাল জ্বর কী?
ভাইরাল জ্বর একটি সাধারণ সংক্রামক রোগ, যা ভাইরাসজনিত কারণে হয়। এটি সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, এডিনোভাইরাস ইত্যাদি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। ভাইরাল জ্বরে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
উপসর্গ
ভাইরাল জ্বরের সাধারণ উপসর্গগুলো হলো:
হঠাৎ জ্বর (১০১-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)
মাথাব্যথা
গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি
সারা শরীরে ব্যথা বা গাঁটে ব্যথা
দুর্বলতা ও ক্ষুধামান্দ্য
কখনও কখনও ত্বকে র্যাশ বা ফুসকুড়ি
চিকিৎসা ও করণীয়
চিকিৎসকদের মতে, ভাইরাল জ্বর সাধারণত ৫-৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই নিচের বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি:
প্রচুর বিশ্রাম ও তরল খাবার গ্রহণ করা
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন (চিকিৎসকের পরামর্শে)
গরম পানি দিয়ে গার্গল করা
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখা
ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন?
জ্বর পাঁচ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে
শরীরে র্যাশ বা রক্তক্ষরণের লক্ষণ থাকলে
শিশু, বৃদ্ধ বা যাদের অন্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, তারা জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত
জনসচেতনতা জরুরি
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত এবং জনবহুল জায়গাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন না করলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।