গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্য মারা গেছেন। তার নাম নুরুল হুদা। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার সদস্য তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার শরীরে পোড়ার মাত্রা ছিল ১০০ ভাগ।
এর আগে এ ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের মৃত্যু হয়। আরো দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন—জয় হাসান এবং জান্নাতুল নাঈম। তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন ডক্টর চং সি জ্যাক। তিনি আহতদের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নেভাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তাদের ৪৯ কর্মী নিহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন নেভাতে গিয়ে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা। তাদের মৃত্যুর মূল কারণ হলো—যেখানে আগুন লাগে ওই স্থানে কী ধরনের পণ্য রয়েছে সে বিষয়ে প্রকৃত তথ্য না দেওয়া, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে না বলা ইত্যাদি। বেশি মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে কেমিক্যাল থাকার তথ্য গোপনের ফাঁদে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান আমার দেশকে বলেন, টঙ্গীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনার মূল কারণ ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ তথ্য না থাকা।