বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান জুলাইয়ের গণআন্দোলনকে ‘কালো শক্তির ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা গভীর ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আজ (২৪.০৮.২৫) ছাত্রীসংস্থার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুনজিয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল উম্মে আরওয়া এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে নেত্রীবৃন্দ বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতন ছিল জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলনের ফলাফল। এটি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র নয়, বরং জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান উদ্দেশ্যমূলকভাবে একে কালো শক্তি আখ্যা দিয়ে অসত্য বক্তব্য রেখেছেন। শুধু এটিই নয়, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই তিনি তার পুরাতন দল আওয়ামী লীগের বয়ান প্রতিষ্ঠা, মুজিববাদের প্রচারণা, মুক্তিযুদ্ধকে জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানোর মতো অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি এ ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা ইতিহাসের বিকৃতি ও গণআন্দোলনের প্রতি চরম অবমাননা।”
নেত্রীবৃন্দ আরও বলেন, “জুলাই গণআন্দোলন নিয়ে ক্রমাগত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সরাসরি অবমাননা। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এ যাবৎ দেয়া প্রতিটি মিথ্যাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে ফজলুর রহমানকে অবশ্যই জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এর প্রেক্ষিতে কেবল শোকজই যথেষ্ট নয় বরং আমরা তার ব্যাপারে যথোপযুক্ত দলীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা জুলাইয়ের ইতিহাস বিকৃতির যে কোনো অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা ক্রমাগত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মাধ্যমে জুলাইয়ের ইতিহাস বিকৃত করা ও ফ্যাসিবাদী বয়ান পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপপ্রয়াস চালানোর জন্য অবিলম্বে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
