আলী হোসেন ( কুমারখালী ) কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়া – ৪ ( কুমারখালী – খোকসা ) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী আফজাল হোসাইন নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
ফেব্রুয়ারী মাসে সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের কেন্দ্র ও জেলার পরামর্শে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী নানান কৌশলে নির্বাচনী মাঠ গরম করে রেখেছে।
গত ১৫ বছর দলটি উপজেলা অফিসে বসে দলীয় কাজ করতে পারেনি , দলের নেতাকর্মীরা বাড়ী ঘরে ঘুমাতে পারেনি, শতাধিক মামলা মাথায় নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া ছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পর দলটির হাবভাব সম্পন্ন পরিবর্তন হয়েছে। দলের উপজেলা অফিস, পৌর অফিস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরগরম থাকে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড পর্যায়ে এখন জামায়াতে ইসলামীর অফিস। এসকল অফিস ঘিরেও চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কাজ।
দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে দলটির পৌর শাখার আমীর অ্যাডঃ রবিউল ইসলাম এপিপি জানিয়েছেন, আমাদের প্রার্থী দিন-রাত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। কুমারখালী – খোকসার যেখানেই যাচ্ছেন মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। মানুষ সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়।
এই বিষয়ে কুমারখালী থানা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন পর মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। এবার তারা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোটের মাঠে যাবে। সমাজের মানুষ এখন অনেক সচেতন তারা আফজাল হোসাইন এর মতো যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবে।
কুষ্টিয়া-৪ আসেনে ভোটার সংখ্যা প্রায় সোয়া চার লক্ষ। এর মধ্যে কুমারখালী উপজেলাতেই ভোটার আছে প্রায় তিন লক্ষ। আর দুই উপজেলার এমপি প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই কুমারখালী উপজেলার। জাতীয় নির্বাচনে এই উপজেলার ভোটের হিসেবনিকেশ নির্ধারন করবে কে এমপি হবে।
এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি হলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক, সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাফেজ মঈনউদ্দীন।
এছাড়াও এই আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুমারখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ফজলে নূর ডিকো, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আনোয়ার খান, গণঅধিকার পরিষদের যুবনেতা শাকিল আহমদ তিয়াস।
বর্তমান নির্বাচনী মাঠে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার – প্রচারনার কাজে এখনো নামেনি। বিএনপির ৪ জন প্রার্থীই নমিনেশনের জন্য কেন্দ্র বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
ধারনা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অথবা অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে নমিনেশন বরাদ্দ করতে পারে। সেক্ষেত্রে এই আসনে যেই নমিনেশন পাবে তার পক্ষেই নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে প্রচার – প্রচারণা করবে।
