রবিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৫ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. প্রবাস
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

মিল কমানোকে কেন্দ্র করে ইবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৪

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

ইবি প্রতিনিধি

খাবারের মিল সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মেস মালিকসহ চারজন আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে অবস্থিত এক ছাত্র মেসে। আহতরা হলেন— ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব (২০২১-২২), সিনিয়র শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম রোহান (২০১৯-২০), এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগের নয়ন (২০২১-২২) এবং মেস মালিক তুহিন। এর মধ্যে সজিব ইসলাম বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মাসিক ৪৫ মিল নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু পূজার ছুটিতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যাওয়ায় মিল সংখ্যা ৪০ করার প্রস্তাব উঠে। মেসেঞ্জারে ভোটে বেশ কয়েকজন সদস্য কমানোর পক্ষে মত দিলেও রোহান আগের ৪৫ মিলই বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে রোহান ও সজিবের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

পরে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য সজিব ও নয়ন রোহানের রুমে গেলে পুনরায় বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা ধস্তাধস্তি ও মারধরে রূপ নেয়। এতে সজিব গুরুতর আহত হন। পরে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিব ইসলাম অভিযোগ করেন, “রাতে রোহান ভাই হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালিগালাজ ও ঘুষি মারেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি মাথায় ও মুখে আঘাত করেন। হাতেও মারাত্মক ব্যথা পেয়েছি।”

অন্যদিকে সিনিয়র শিক্ষার্থী রোহান দাবি করেন, “সজিব ও তার বন্ধুরা রাতে আমাকে হিসাব নিয়ে কথা বলার জন্য ডাকে। পরে তারা চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন বহিরাগত নিয়ে এসে আমাকে ও মেস মালিককে মারধর করে। তারা আমার গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে এবং কুষ্টিয়া ছাড়ার হুমকি দেয়। আমি তদন্ত দাবি করছি।”

মেস মালিক তুহিন বলেন, “আমি প্রথমে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে শব্দ শুনে নিচে এসে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলছে। থামাতে গিয়ে আমিও হাতে আঘাত পাই।”

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, “রাতে সজিব ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার চোখ, মুখ ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

শনিবার সকালে হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে যান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকার। তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যাই। আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ - ধর্ম

আপনার জন্য নির্বাচিত

১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯৯ কোটি ডলার

মোজো সাংবাদিকদের নিয়ে উমামা ফাতেমার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এমআরএ-এর

হাসনাত- সারজিস আলমকে ক্ষমা চাওয়া আল্টিমেটাম দিল কারিগরি আন্দোলনের নেতারা

নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে মিমাংসিত বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক আন্দোলন বরদান্ত করা হবে না

বেচে আছেন ইরানি সামরিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলী শামখানি।

জাতিসংঘের নীতিমালা আজ ‘অবরুদ্ধ’: আন্তোনিও গুতেরেস

গাজামুখী ত্রাণবহর রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি ও স্পেন

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন চাওয়া সব দলই প্রাথমিক বাচাইয়ে ফেল

পানচাষিদের ন্যায্যমূল্যের আশ্বাস জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদকের