বৃহস্পতিবার , ২৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. প্রবাস
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

গাজায় দুর্ভিক্ষ সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে। অনাহারে মৃতের সংখ্যা ৩১৩

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৮, ২০২৫ ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পুষ্টি ও অনাহারে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এই নিয়ে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে। এদের মধ্যে ১১৯ জন শিশু। তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে আরও এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ এখন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধ ও অব্যাহত হামলার কারণে জীবন বাঁচাতেক পারে এমন সাহায্য প্রবেশ করতে না পারায় শিশুদের ক্রমবর্ধমানভাবে না খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক বিবৃতিতে কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ ও ব্যাপক ক্ষুধা ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট মানবসৃষ্ট বিপর্যয়।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক উপপ্রধান জয়েস মুসুইয়া জানান, উত্তর-মধ্য গাজায়, বিশেষ করে গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এটি দক্ষিণের দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহার, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। সেপ্টেম্বরের শেষে এই সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গাজার কার্যত কোনো মানুষই ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচতে পারছেন না।

মুসুইয়া আরও জানান, পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ হাজারেরও বেশি শিশু আগামী মাসগুলোতে জীবন-সংকটের মুখোমুখি হবে। তিনি বলেন, এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা খরার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ নয়। এটি সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট একটি সংঘাতের পরিণতি, যা বিপুল প্রাণহানি, আহত, ধ্বংসযজ্ঞ ও বাস্তুচ্যুতি ডেকে এনেছে।

এর আগে বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে, যার মধ্যে ১১৯ শিশু।

অন্যদিকে, ইসরায়েল জাতিসংঘ সমর্থিত দুর্ভিক্ষ পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)–কে গাজার দুর্ভিক্ষ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এডেন বার টাল ওই প্রতিবেদনকে ত্রুটিপূর্ণ, অপেশাদার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য প্রত্যাশিত মানের বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন।

তবে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি ১৪ সদস্য দেশ আইপিসির প্রতিবেদনকে সমর্থন জানায়। তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় দুর্ভিক্ষ অবিলম্বে অবসান ঘটাতে হবে। একইসঙ্গে অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

গাজার ক্লিনিকগুলো কঙ্কালসার শিশুতে ভর্তি, তারা এতটাই দুর্বল যে তারা ব্যথায় কাঁদতেও পারছে না। অনেকেই নিস্তব্ধ হয়ে আছে, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে।

অ্যাশিং জানান, আগে শিশুদের আঁকায় শান্তি, শিক্ষা আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা যেত, কিন্তু এখন তারা শুধু খাবারের ছবি আঁকে। সম্প্রতি অনেক শিশু এমনকি মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করছে। একটি শিশুর লেখা তুলে ধরে তিনি বলেন- ইশ, আমি যদি আমার মায়ের কাছে স্বর্গে থাকতে পারতাম। সেখানে ভালোবাসা আছে, খাবার আছে, পানি আছে

সর্বশেষ - ধর্ম

আপনার জন্য নির্বাচিত

সমুচা না নিয়ে আসায় বিচার বসিয়ে স্বামীকে পিটালো বউ

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ অধ্যাপক

ভিকারুননিসা নূন স্কুলে হিজাব পরে আসায় ক্লাস থেকে বের করে দিলো ২২ শিক্ষার্থীকে

সীরাত অলিম্পিয়াড বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা

বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিয়ে আফগানিস্তানকে ট্রাম্পের হুমকি

বিছানায় পড়েছিল শিশুর লাশ, আরেক ঘরে ঝুলছিলেন অন্তঃসত্ত্বা মা

বাংলাদেশে আর কাউকে ভয় দেখিয়ে চুপ করানো যাবে না: তাসনিম জারা

আজ সন্ধ্যা ৭ টায় প্রকাশ হবে জাকসুর ফলাফল

বলনির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে শঙ্কা বাড়ছে: ফারুকবল

হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার