শুক্রবার , ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. প্রবাস
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

যশোরে টাপেন্ডাল বড়ির ছয়লাভ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৫, ২০২৫ ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ

সরকার নিষিদ্ধ ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডলে সয়লাব হয়ে গেছে যশোরের বিভিন্ন স্পট। বহনে সহজ ও দাম কম হওয়ায় হেরোইন ও ফেনসিডিলের জায়গা দখল করছে এটি। খোদ যশোর শহরের চিত্রা মোড়ে রয়েছে ৪ থেকে ৭ জনের বড় চক্র। এছাড়া যশোর শহরের কয়েক ডজন স্পটে সংঘবদ্ধ চক্র অনেকটা বিনা বাধায় বিক্রি করছে এই ট্যাবলেট। যশোরের অনেকগুলো বিতর্কিত ফার্মেসিতেও গোপনে বিক্রি হচ্ছে। ট্যাপেন্টাডল রোধে অভিযান চললেও জব্দ ও আটকের তুলনায় শ’ শ’ গুন বেশি বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে শিখিলতার কারণেই অবৈধ ট্যাপেন্টাডলের ব্যবসা ও সেবন বাড়ছে। ট্যাপেন্টাডলের ব্যাপারে নজরদারি বাড়িয়ে অভিযান চালানোর দাবি উঠেছে। যশোরে সম্প্রতি দু’টি অভিযানে দু’টি চালান জব্দ হলেও চলমান ব্যবসা ও ব্যবহারের তুলনায় তা যৎসামান্য বলে অনেকের মতামত। যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে কার্যকর অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছে। তথ্য মিলেছে, ভয়াবহ মাদক হেরোইনের বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীরা ব্যথানাশক ট্যাবলেট তৈরির মূল উপাদান ‘টাপেন্টাডল’ ব্যবহার করছে। এমন তথ্য জানার পর ২০২০ সালে ট্যাবলেটটিকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য ঘোষণা করে সরকার। হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবার পরিবর্তে এটি বহুলভাবে সেবন শুরু করে মাদকসেবীরা। অন্য মাদকদ্রব্য থেকে সহজে পাওয়া যাচ্ছে এবং দামে ফেনসিডিল ও হোরোইন থেকে কম হওয়ায় ব্যবহার বাড়ে। সাধারনত ভারত ও ভুটানের চালকেরা এক দুই হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়ায় তাদের শরীরে ব্যথা অনুভব হলে এটি সেবন করেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর এদেশের উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা ‘ফিলিংস’ করতে, একটু ঘোরের মধ্যে থাকতে কিংবা কৌতূহলের বশে এটি গ্রহণ করছে। এছাড়া এই মাদক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বেশি নজরে না থাকায় সহজে অন্য মাদকের বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীরা এটি নিচ্ছে। আর সীমান্ত জেলা হিসেবে যশোরে এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। যশোর শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত মোড়, শহরের বিভিন্ন বাজার পাড়া মহল্লা ও চিহ্নিত অনেক স্পটে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এটি। যশোর শহরে সম্প্রতি ডজনখানেক সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়েছে। সিন্ডিকেট প্রধানদের মধ্যে রয়েছে, কাজীপাড়ার রিয়াদ, ঘোপের স্বাক্ষর, রেলগেটের বাবু, খালেদ মাসুম, বউ বাজার এলাকার ইব্রাহিম, উপশহরের রাসেল, ধর্মতলার আবির, রিকসাওয়ালা জনি, চোপদারপাড়ার জুয়েল, ডালমিল এলাকার ফরিদ, টিবি ক্লিনিক এলাকার মামুন, চোপদারপাড়ার হাফিজুর রহমান। এরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ট্যাপেন্টাডল পাইকেরী এনে যশোর শহরে ও শহরতলীতে আরো লোক লাগিয়ে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যশোরের খাবার ৩শ’ টাকা পাতা কিনে বিক্রি করছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা পাতা। বহনে সহজ, আবার দেশি ওষুধের পাতার মত ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটের পাতা হওয়ায় আটক হওয়ার ঝুঁকি কম মনে করে এই ব্যবসা চলছে অবাধে। ফেনসিডিলের দাম এখন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বোতল হওয়ায় সেই জায়গা এটি দখল করছে। যশোরের অনেক বিতর্কিত ফার্মেসিতেও গোপনে বিক্রি হচ্ছে। যশোরের প্রেক্ষাপটে নজরদারি বাড়িয়ে জরুরি ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার ও জড়িতদের আটকে অভিযান চালানোর দাবি উঠেছে ভুক্তভোগী অভিভাবক মহল থেকে। মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি ট্যাবলেটের বাজারমূল্য সাধারণত ৮ থেকে ১০ টাকা। কিন্তু উঠতি যুবক, বখে যাওয়া ছাত্র, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, ট্রাকচালকসহ অন্য দিনমজুররা এটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে খুচরা কেনেন। ব্যবসায়ীরা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ট্যাপেন্টাডল মাদক দেশে নিয়ে আসছে। আবার আকাশ পথেও আনা নেয়া হয়। অবস্থা এতোটাই বেগতিক যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৪১ হাজার ট্যাপেন্টাডলসহ পাঁচজন ধরা পড়েন। টাপেন্টাডল কার্যত ব্যথানাশক ওষুধ হলেও অনেকে মাদক হিসেবে গ্রহণ করছেন। যারা মাদক সেবন করেন তারাই ক্রেতা। এটি একটি অপিয়েড (আফিমজাত নেশা দ্রব্য) মাদক, হেরোইন সেবনের পর যে অনুভূতি হয়ে এটা সেবন করলে তেমনই অনুভূতি হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের একটি সূত্র জানিয়েছে, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট দীর্ঘদিন সেবন করলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার কারণে এই ওষুধকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই মাদক সেবনে স্নায়ু দুর্বল করে। অন্যান্য সব মাদকের কারণে শারীরিক যেসব সমস্যা হয় এটা সেবন করলেও একই ধরনের সমস্যা হয়। অনেক আগেই এই ট্যাবলেট ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি বন্ধের নির্দেশনাও দেয়া হয়। এরপর কিছুদিন নাগালের বাইরে থাকলেও সম্প্রতি মাদকসেবীদের কাছে চাহিদা ও যোগান বাড়ছে। অন্য মাদকের চেয়ে সহজলভ্য এবং দাম কম হওয়ায় এই মাদকের চাহিদা বাড়ছে বলে মনে করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এদিকে ট্যাপেন্টান্ডল ব্যবসার সাথে জড়িত সূত্র জানিয়েছে, যশোরাঞ্চলে জব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি এই নিষিদ্ধ ওষুধ ট্যাপেন্টাডল মাদক হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, মাদক হিসেবে গ্রহণ করছে সেবীরা। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান কম থাকায় ট্যাপেন্টাডল সেবী ও জোগানদাতারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি অফিসার মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, ট্যাপেন্টাডল কারবারীদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। গত ২৯ জুলাই রাতে দুটি অভিযানে ৩শ’ পিসের চালান জব্দ করা হয়। যশোর রেলবাজার এলাকার আমিনুর রহমানের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের সামনে ওমর ফারুক (১৯) নামে একজনকে ৩শ’ পিস অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় এসআই কামরুজ্জামান ধৃত ফারুকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করেন। আটক ওমর ফারুক বেনাপোল বলফিল্ড আমতলা এলাকার লিয়াকত আলী গাজীর ছেলে। যে কারণে বেনাপোল কেন্দ্রিক ট্যাপেন্টাডল ব্যবসা ও জড়িতদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুত আরো অনেকে আটক হবে। এর আগে যশোরের অভয়নগরে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক মাদক কারবারি যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়। তার নাম জুয়েল (৩৬)। তিনি ওই উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান গোলদারের ছেলে। তার কাছ থেকে ৬৩ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় ট্যাপেন্টাডল ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া যশোর শহর ও শহরতলীতে কারবারে যুক্ত চক্রের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই তাদের হাতেনাতে আটক করা হবে। এরপর গত ১৩ জুলাই সকালে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)-এর অধীন বেনাপোল বিওপি ও বেনাপোল আইসিপি’র টহলদল যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কসমেটিকস, শাড়ি ও জিরার সাথে ওই ট্যাপেন্টাডল আনা হচ্ছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চোরাচালান হয়ে আসছে বিভিন্ন ভার্সনের মাদক। বতমানে ট্যাপেন্টাডল আনা হচ্ছে এবং যশোরাঞ্চলে এর ব্যবহার কারবার সেবন চলছে বলে তথ্য মিলছে। মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ট্যাপেন্টাডলের উপরেও নজরদারি রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। ধারাবাহিকভাবে অভিযান ও তৎপরতা চালানো হচ্ছে। যশোরের প্রেক্ষাপটে যে তথ্য আসছে খোঁজখবর নিয়ে অভিযান চলবে। হাতেনাতে আটক করা হবে জড়িত কারবারীকে

সর্বশেষ - ধর্ম

আপনার জন্য নির্বাচিত

সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণঃ প্রতারক গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

চুন্নুকে দল থেকে বাদ নতুন মহাসচিব পেলো জাতীয় পার্টি

টানা বৃষ্টিতে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় হাঁটু পানি

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা মিস হুমা খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

আমার চাহিদা যে পূরণ করতে পারবে তাকেই বিয়ে করবঅভিনেত্রী সুস্মিতা সেন

আলমডাঙ্গায় নকল সার অভিযান পর দিন কৃষি কর্মকর্তার হঠাৎ বদলি: কৃষক সমাজে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ

৩০ আসন নিয়ে ফখরুলের দাবির তীব্র প্রতিবাদ জামায়াতের

শৈলকুপায় রাজনৈতিক অস্থিরতা: বিএনপি নেতা বাবলু মোল্লার বিরুদ্ধে জামায়াত কর্মীদের হুমকি ও হামলার অভিযোগ

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ অধ্যাপক