স্টাফ রিপোর্টার: হাদিসুর রহমান
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত অলাভজনক তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একইসঙ্গে আরও একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিলাহাটি স্থলবন্দর, দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর ও তেগামুখ স্থলবন্দর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি কার্যকরী নয় এমন স্থলবন্দরগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা ৮টি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর যাচাই করা হয়। এ উদ্দেশ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনের পর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়, যার ভিত্তিতে সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “অলাভজনক ও অকার্যকর স্থলবন্দরগুলোর পেছনে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় না করে, সেই অর্থ দেশের কার্যকর বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় স্বার্থে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়াই আমাদের দায়িত্ব।”
সরকারি সূত্র জানায়, বন্ধ হওয়া স্থলবন্দরগুলোর বিকল্প ব্যবহার এবং স্থগিত হওয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তীতে আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
