প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে- ডা. শফিকুর রহমান
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জাতীয় সংগঠন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)-এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন আজ শনিবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় ও প্রকৌশলী আব্দুছ ছাত্তার শাহ এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এফডিইবি’র প্রধান উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ডা. শফিকুর রহমান বলেন: “আগামীর বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর ও স্মার্ট রাষ্ট্র। টেকনিশিয়ান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্ময়ে প্রকৌশল সেক্টরের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। কারো কর্মদক্ষতাকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না, যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রত্যেক ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো যেখানে প্রকৌশলীরা শুধু প্রযুক্তি জ্ঞান নয়, নৈতিকতার দিক থেকেও আদর্শিক হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জনগণকে দাবি আদায়ে আর রাস্তায় নামতে হবে না। যে সার্ভিসের গভীরতা ও দায়িত্ব যতটা, সেই অনুযায়ীই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সমন্বয় তৈরি করা হবে, যাতে শিক্ষাজীবন শেষে প্রত্যেকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেতে পারে। কেউ বেকার থাকবে না। প্রত্যেকে হয় উদ্যোক্তা হবে, নয়তো চাকরিজীবী।
তিনি আরও বলেন, শুধু ডিগ্রির ভিত্তিতে কারও মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে না। কাজের দক্ষতা ও ফলাফলের ভিত্তিতেই মর্যাদা দেওয়া হবে। পাঁচ বছরে উন্নয়নের বুলেট ট্রেন চালু করা সম্ভব না হলেও উন্নয়নের এক্সপ্রেস ট্রেন অবশ্যই চালু করা যাবে বলে আশা করেন জামায়াতে আমির”
অনুষ্ঠানে ফোরামের উপদেষ্টা ও প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, “দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিল্পায়নে প্রকৌশলীদের অবদান অপরিসীম। এখন প্রয়োজন টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে প্রকৌশলীরা সর্বস্তরের মানুষের সাথে কাজ করবে।”
বিশেষ বক্তা ফোরামের উপদেষ্টা ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন বলেন: স্বনির্ভর বাংলাদেশ। গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের দক্ষতা উন্নয়ন, গবেষণায় বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।”
উক্ত প্রোগ্রামে ফোরামের নবনির্বাচিত সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুছ ছাত্তার শাহ বলেন: ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিক থেকে শহর এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মূল দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রীয় আইনানুগভাবে স্বীকৃত ১০ম গ্রেড ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার, এটি কোনো দয়া বা কোটা নয়। অথচ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ১০ম গ্রেড না দেওয়া মানে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইডিইবির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কবীর হোসেন। সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন, এফডিইবি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী তৈয়েবুর রহমান জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবুল হাসেম, প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, প্রকৌশলী আবু মেহেদী, প্রকৌশলী আবদুল বাতেন, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী শাহজাহান কবির রিপন, প্রকৌশলী ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সামাদ সরদার, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী ইয়াছিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি প্রকৌশলী তারেকুল ইসলাম তারেক, দক্ষিণ সেক্রেটারি প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান নিঝুম প্রমুখ।
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রকৌশলীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
